ঘি এর উপকারিতা ঃ
ভাত, ডাল বা খিচুড়িতে এক চামচ ঘি দিলেই এর স্বাদ বেড়ে যায় বহুগুণ।
আবার মুরগির মাংস বা খাসির মাংসের ঘি রোস্টও খেতে সুস্বাদু।
কিন্তু অনেকেই আছেন যাঁরা ঘি পছন্দ করেন না বা ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় ঘি খেতে চান না।
কিন্তু এই ধারণা ভুল-
নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘি খেলে, তা ওজন বৃদ্ধি করে না। আয়ুর্বেদে ঘিকে সুপারফুডের তকমা দেওয়া হয়। এতে নিরাময়কারী উপাদান বর্তমান।
ঘিয়ের পরিবর্তে রিফাইন তেলে তৈরি খাবার খেয়ে থাকি আমরা।
আয়ুর্বেদ মতে, এর ফলে আমাদের শরীরের নানান ক্ষতি হতে পারে।
সেলিব্রিটি ফিটনেস এক্সপার্ট রুজুতা দিওয়েকার একাধিক বার ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন।
শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ঘি: শক্তি বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর প্রোটিন শরীরে পুষ্টি যোগায় আর হরমোন তৈরি করতে ফ্যাট সহায়তা করে। তাই বিশেষজ্ঞরা গরমে পাতে ডাল রাখার পরামর্শ দেন। গরমের সময় আপনি যদি মুসুর ডাল, রুটির সঙ্গে বা তরকারিতে এক চামচ ঘি দিয়ে খেতেই পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘিয়ে ফ্যাট এর পরিমাণ যথেষ্ট বেশি, তাই যাঁরা ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তাঁদের জন্য ঘি ভাত আলুসিদ্ধ খাওয়া উচিত।ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে: আমরা যাই খাই না কেন,যে কোনও মরসুমে ইমিউনিটির প্রয়েজনীয়তা সবচেয়ে বেশি দরকার হয়। ঘি-এর মাধ্যমে শরীরে ইমিউনিটি বেড়ে যায়। ঘি খাওয়ার ফলে নানা রকম সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা পাই সহজেই। পুষ্টিবিদদের মতে, ঘি-এ রয়েছে বাটরিক অ্যাসিড। স্বল্প সময়ের ফ্যাটি অ্যাসিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভালো। এতে উপস্থিত ভিটামিন A এবং C রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।হজম ভালো রাখতে সাহায্য করে: খালি পেটে ঘি খেলে হজমের সাহায্য করে। আয়ুর্বেদের মতে, ঘি শরীরের হজম উন্নতি এবং পুষ্টির মান শোষনের অন্যতম। এতে প্রচুর পরিমাণে বিউটারিক এসিড যা ইন্টেস্টাইনর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই যে কোনও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমিয়ে দেয় সামান্য হলেও, ডায়াবিটিস রোগীদের জন্যও উপকারী।গরমের সময় শরীরে জলের অভাব মেটায় সহজে: ঘি আমাদের শরীরের ভিতরে আর্দ্রতা ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। আসলে এতে ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ভিতর থেকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। পুষ্টিবিদের মতে ঘি খাওয়া ভালো বিশেষত গরমের সময় যখন শরীরে জলের অভাব হয়। শুধু তাই নয়, ঘি খেলে ত্বকেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। আসলে ঘি এর Antiviral ও Anti Fungal বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী লাউরিক এসিড। ঘি এর সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে মিশ্রণ ঘরোয়া উপায় হিসাবে গন্য করা হয়।গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে: অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ঘি খাওয়ার ফলে আমাদের মন এবং শরীরে শীতলতা অনুভূত হয়। কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঘি প্রদাহ হ্রাস করার পাশাপাশি শরীরকেও শিথিল রাখতে সাহায্য়। এটি স্বাদে মিষ্টি এবং শীতল প্রকৃতির। এই কারণে ভরা গরমেও ঘি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে বলা হয় ঘি এর সঙ্গে যদি অশ্বগন্ধা বা ব্রাহ্মীশাক মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই প্রতিবেদনটি পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গরমে ঘি খাওয়া কতটা জরুরি।
0 Reviews:
Post Your Review